রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৫ অপরাহ্ন
দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে ১ ইঞ্চি মাটিও অনাবাদি না রাখার কথা বলেছেন, সেখানে উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের শ্যামনগর ফেলার গাইড়া চকের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বিঘা জমি জলাবদ্ধতার কারনে আবাদের বাইরে রয়েছে। ওই চক থেকে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খাল কাশি ফকিরের ডাঙ্গা থেকে টাকিমারা বাজার পর্যন্ত আংশিক ভরাট হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
উক্ত খালটি খনন বা সংস্কার করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলে ওই জমিগুলোতে বছরে একাধিক ফসল ফলানো যেত। আর এরই দাবীতে মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে স্থানীয় ৫ শতাধিক কৃষক-কৃষানী ওই চকে মানববন্ধন করেন। পানিতে নিমজ্জিত জমির মালিক সায়েস্তা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শ্যামনগর গ্রামের ওমর আলী বলেন, আমার ৪০ বিঘা জমি প্রায় সারা বছরই থাকে পানির নীচে। মাঘ মাসের শেষে বোরো ধান লাগালেও তা পাঁকার সময় (জৈষ্ঠ্য-আষাঢ় মাসের) বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া কৃষক আব্দুস সামাদ, বিল্লাল হোসেন, আব্দুস ছাত্তার, আব্দুল করিম, আবুল হোসেনসহ অনেকেই অভিযোগ করে গণমাধ্যমকে বলেন, যুগ যুগ ধরে স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারনে আমরা ফসল ফলাতে পারি না। ইতিপূর্বে উপজেলা কৃষি অফিস ও ইউএনও অফিসে আবেদন করেও কোনো প্রতিকার পাইনি।জমিতে ফসল ফলাতে না পেরে নিদারুন কষ্টে আছেন বলেও তারা জানান।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মো. সেলিম হোসেন কৃষকদের দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবী জানান। এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা অফিসার রুনা লায়লা বলেন, কৃষকদের আবেদনের বিষয়টি আমার জানা নেই । তবে জলাবদ্ধতার বিষয়টি আমি গুরুত্বের সাথে দেখবো।